........................................Anondo Nogor.........................................

Your Ad Here

মীম ব্যর্থ!

সিনেমার পর্দায় দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ হলেন লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার  বিদ্যা সিনহা মীম। প্রথম ছবি আমার আছে জল-এর মতো দ্বিতীয় ছবি আমার প্রাণের প্রিয়াতে দর্শক মন জয় করতে ব্যর্থ হলেন রেকর্ড পারিশ্রমিকে অভিনয় করা এ নায়িকা। জাকির হোসেন রাজুর মতো সুনির্মাতা আর শাকিব খানের মতো সেরা নায়ক থাকা সত্ত্বেও মীমকে ব্যর্থতার চূড়ান্ত স্বাদ গ্রহণ করতে হলো।

দর্শকদের মত, বেশ ভাল ছবি বানিয়েছেন জাকির হোসেন রাজু। আমার প্রাণের প্রিয়া  নামটিও চমৎকার। হালের ক্রেজ, হৃদয় ছোঁয়া গানও আছে। তারপরও ছবির নায়িকা মীমকে তাদের পছন্দ হলো না। পছন্দ হওয়ার মতো করে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। শাকিবের মতো বিশালদেহী নায়কের পাশে শারীরিক কারণে বেমানান ঠেকেছে মীমকে।

পরিচালক জাকির হোসেন রাজুও ব্যর্থ হয়েছেন এই মীমের কারণে। ব্যর্থ শাকিব খানও। একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে শাকিব খান প্রসঙ্গে পরিচালক জাকির হোসেন রাজু বলেছেন, শাকিব হচ্ছেন সৌরজগত। বাকিরা সব গ্রহ-উপগ্রহ। শাকিবের আলোয় আলোকিত হচ্ছেন সবাই। কিন্তু নিজের ছবিতেই রাজুর কথা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

শাকিব তার আলো দিয়ে মীমকে আলোকিত করতে পারেননি। আলোর দেখা পাননি পরিচালক জাকির হোসেন রাজুও। তাই তো মীমের পাশাপাশি শাকিব-রাজু সবাই ব্যর্থ- চলচ্চিত্র শিল্প এখন এটাই বলাবলি হচ্ছে।

রোমান্স উইথ ক্রিকেট  নাটকে একসঙ্গে:

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় শাকিব আল হাসানের বিপরীতে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী তিশা। রোমান্স উইথ ক্রিকেট  নামের একটি একক নাটকে তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে। দাউদ হোসাইন রনির রচনায় নাটকটি পরিচালনা করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল।

আগামী ২০, ২১ ও ২২শে নভেম্বর ঢাকা এবং ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় নাটকটির দৃশ্যধারণ হবে। রোমান্স উইথ ক্রিকেট-এর গল্প গড়ে উঠেছে ক্রিকেট ও এই ক্রিকেটের মাঝে একটি ছেলে ও মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে।

নাটকের গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক নেয়ামূল বলেন, গল্পটি আমার বেশ ভাল লাগে, সেই হিসেবেই আমি এই নাটকটি নির্মাণ করছি। এমনিতেই আমার ক্রিকেটের প্রতি আলাদা প্রীতি রয়েছে। তাছাড়া ক্রিকেট নিয়ে এই নাটক নির্মাণের আগে, আমি ক্রিকেট বিষয়টি নিয়ে একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছি।

এতে মডেল হিসেবে রয়েছে নীরব। বিজ্ঞাপনটিতে বেশ সাড়া পেয়েছি। আশা করছি, সেই হিসেবে নাটকটিও বেশ ভালভাবে নির্মাণ করতে পারবো। শাকিব আল হাসান বলেন, আমি মূলত ক্রিকেটার। অভিনয় করতে জানি না। নাটকটি ক্রিকেট নিয়ে, শুধু এইজন্য বেশ সুবিধা হচ্ছে।

পরিচালক বলেছেন আমাকে বেশ সহযোগিতা করবেন। তাই রাজি হয়েছি। আর তিশা সম্পর্কে বলবো, আমি তার অভিনয়ের ভক্ত। তার সঙ্গে কাজ করবো এটিই তো আনন্দের। তিশা বলেন, আমি এর আগে আরও ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সঙ্গে অভিনয় করেছি। তাদের লক্ষ স্থির, সবসময় ঠিক থাকে।

অর্থাৎ, কাজের প্রতি তাদের মনোযোগ বরাবরই বেশি দেখেছি। আশা করছি, বাংলাদেশসহ বিশ্বের কাছে কিব আল হাসান যেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন, ঠিক তেমনি তিনি অভিনয়েও নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন।

শাবনূর ওয়েবসাইট খুলছেন:

ওয়েবসাইট চালু করছেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ও গুণী অভিনেত্রী শাবনূর। সম্প্রতি নিজ নামে ওয়েবসাইট চালুর জন্য একটি জায়গা বরাদ্দ নিয়েছেন তিনি। www.shabnoorfilmactress.com নামের শাবনূরের এই ওয়েবসাইটটির বর্তমানে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। সাইটটি পুরেপুরি নির্মাণ শেষ হয়নি। ফলে অনলাইনে থাকলেও এতে এখনো শাবনুরের কোন তথ্য নেই।

এতে শাবনূর প্রোফাইল ছাড়াও তার অভিনীত ছবির সংখ্যা, ছবির পরিচালক, প্রযোজক, সহ অভিনেতা এবং সেই ছবির গল্প ও চরিত্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া থাকবে। আরও থাকবে প্রায় সকল ছবিরই কিছু চুম্বক দৃশ্য ও গান। পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের নানা তথ্যই এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত স্থান পাবে বলে শাবনূর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

ওয়েবসাইট সম্পর্কে শাবনূর বলেন, আমার এই ওয়েবসাইট আগামীর অর্থাৎ ভবিষ্যতের চিন্তা ও ভাবনা থেকেই করা হচ্ছে। যদিও তা আরও আগেই করা উচিত ছিল, কিন্তু হয়ে উঠেনি নানা কারণে। আমার এই ওয়েবসাইট চালুর উদ্দেশ্য, আজকের তরুণ প্রজন্ম যারা আমাকে জানে না-কিন্তু আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী; আমি কখন, কি অবস্থায় আছি তার খোঁজখবর রাখতে চায়; তারা আমার ওয়েবসাইট দেখেই তা রাখতে পারবে। তাছাড়া, প্রতি সপ্তাহেই এর আপগ্রেড থাকবে।

১৯৯৩ সাল থেকে এই পর্যন্ত যত সাক্ষাৎকার ও পত্রিকায় শাবনূর বিষয়ক বিভিন্ন সংবাদ ছাপা হয়েছে সেগুলো এই ওয়েবসাইটে স্থান পাবে বলে জানিয়েছেন শাবনূর সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, শাবনূর একজন বড়মাপের সেলিব্রেটি। তার নিজস্ব ওয়েবসাইট গঠন অতি জরুরি। আর সেই চিন্তায় এই ওয়েবসাইট গঠন করা হচ্ছে।

শাবনূরকে এই ওয়েবসাইট গঠনের বিশেষ সহযোগিতা করছেন পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। তিনি বলেন, শাবনূর ক্যারিয়ারের এই যাবৎকালের মাঝে তার কাজের মূল্যায়ন হিসেবে অর্জন করেছেন জাতীয় পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার। আর এই পুরস্কার প্রাপ্তির ছবি এবং দৃশ্য এই ওয়েবসাইটে স্থান পাবে।

সেই সঙ্গে শাবনূর এই যাবৎকাল নানা দেশ ভ্রমণ করেছেন; রয়েছে সেই দেশগুলোর ভ্রমণের অনেক আনন্দ স্মৃতি। আর সেই স্মৃতি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করবেন এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। ওয়েবসাইট সম্পর্কে শাবনূর আরও বলেন, পত্রিকাগুলো সব সময় পাঠক, দর্শকের কাছে আমার তথ্য পৌঁছায়। কিন্তু, মাঝেমধ্যে দেখছি পত্রিকা বাড়ছে এবং নতুন অনেক সাংবাদিক আসছেন।

স্বাভাবিকভাবেই পুরনোদের সঙ্গে আমার বেশ সুসম্পর্ক ছিল, হয়তো নতুনদের সঙ্গে সেভাবে হয়ে উঠেনি। কিংবা আমার সম্পর্কে তারা একটি তথ্য জানতে চায়, কিন্তু আমাকে খুঁজে পাচ্ছে না। তাদের জন্য এই ওয়েবসাইট অনেক কাজে দিবে। এতে করে পাঠক সঠিক তথ্য জানতে পারবে।

এদিকে শাবনূর বর্তমানে বেশকিছু নতুন ছবিতে অভিনয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন; নাম ঠিক না হওয়া এই ছবিগুলোতে তিনি আবার দর্শকদের কাছে তার অভিনয়ের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবেন-একথাই বলেছেন শাবনূর। তিনি বলেন, বর্তমানে আমি বেশ কিছু নতুন ছবিতে অভিনয়ের চুক্তি করেছি।
আমি এবার অনেক সিরিয়াস। আবেগের কোন ঠাঁই নেই আমার কাছে।

আগে শুধু নিজের চরিত্র দেখেই ক্ষান্ত থাকতাম। এবার আর নিজেরটি নয়; পুরোটা ছবির গল্প, সকলের চরিত্র এবং সহ অভিনেতা-অভিনেত্রী এই সবকিছুই এখন দেখছি। মোট কথা সর্বোপরি একটি ভালো ছবি নিয়ে দর্শকের সামনে আসার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। আমার অভিনয় দিয়েই আবার অর্জন করবো দর্শক হৃদয়।

 

Your Ad Here

স্বপ্নবাজ অভিনেতা:

শৈশব আর কৈশোরের দুরন্ত সময়ে বরিশালের গৌড়নদীতে মোশাররফর করিমের উচ্ছসিত সময় কেটেছে। সংস্কৃতিমনা বাবার অনুপ্রেরণায় ছোট্ট মোশাররফ যাত্রার খোলা মঞ্চে প্রথম অভিনয় করেন। মাধ্যমিক শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে বাবার হাত ধরে মোশাররফ পা রাখেন ঢাকার বেইলী রোডের নাটক পাড়ায়। সে দিনের সেই সন্ধ্যায় মহিলা সমিতি মঞ্চে মমতাজউদ্দীন আহমদের ক্ষত বিক্ষত  নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল।

মঞ্চের সেট আর আলো-আঁধারির খেলায় মোশাররফ এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে অজান্তেই উজ্জীবিত হয়েছিলেন মঞ্চ নাটকে কাজ করার জন্য। মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা আজন্ম স্বপ্নের বীজ মোশাররফ বপন করা শুরু করেন মঞ্চের নানা প্রান্তে। মঞ্চের ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় থিয়েটার  ভেঙ্গে যখন নাট্যকেন্দ্র  প্রতিষ্ঠা হয় তখন মোশাররফ করিমও নাম লেখিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মাঝে।

নাট্যকেন্দ্রের শুরুর দিকে সব প্রযোজনা- আরজ চরিতামৃত, হয়বদন, বিচ্ছু, সুখ, প্রতিসরণসহ প্রায় সবগুলোতেই মোশাররফ নজরকাড়া অভিনয় করে সবার দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছিলেন। এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে তৎকালীন সময়ে নাট্যকেন্দ্রের প্রতিভাবান অভিনেতাদের মাঝে অন্যতম ছিলেন মোশাররফ করিম। শুধু অভিনয়ই নয়, হয়বদনএ গানের সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন এ তরুণ অভিনেতা।

হালের জনপ্রিয় এই অভিনেতা মঞ্চের অভিনয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। না কোনো অভিমান নয়, টিভি নাটকের ব্যস্ততাই এর মূল কারণ। মঞ্চ নাটক থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে মোশাররফ বলেন, এক সাথে দুটো কাজ কখনোই করা সম্ভব নয়। টিভি নাটকের ব্যস্ততা এতটাই যে মঞ্চের জন্য সময় বের করে মহড়ায় অংশ নেয়া বেশ কষ্টকর।

একদিকে শুটিংয়ে সবাইকে বসিয়ে রাখা অন্যদিকে মহড়ায় সময় মতো না যেতে পারা, সব মিলিয়ে নিজের কাছেই অপরাধী মনে হয়। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে, অনেকেই দুটো কাজ একসাথে করছেন। তারা আমার থেকে অনেক বেশি প্রতিভাবান, আমার প্রতিভা কম বলেই দুটো কাজ একসাথে করতে পারি না। তবে মঞ্চের সেই দিনগুলো যে আমাকে ভাবায় না তা কিন্তু নয়। মহড়ার সন্ধ্যাগুলো এখনো আমাকে তাড়িত করে।

বেইলীরোড আর টিএসসির সেই আড্ডাগুলো, যেখানে ইউসুফ হাসান অর্ক, ইকবাল বাবু, ফজলুল করিম তুহিন, মোস্তফা ভাই সবাই মিলে কতনা আনন্দ-বেদনার দিন গেছে। মঞ্চ নাটক করার সময়ই ২০০০এ প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করি ফেরদৌস হাসানের নির্দেশনায় অতিথি নাটকে। এ নাটকটিতে চাকরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। নাটকে চড় মারার একটা দৃশ্য ছিল আমাকে কেন্দ্র করে।

দৃশ্যটি বেশ কবার ধারণ করার হয়। খুব মজা হয়েছিল। তারপর অনেকদিন, ২০০৫-এ আবার টিভি নাটক করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করি। মূলত অর্থের প্রয়োজনেই টিভি নাটক করা শুরু করে ছিলাম। প্রথম প্রথম আমাকে অনেক পরিচালকই নিতে চাইনি। আবার এমনও হয়েছে কাস্টিং করার পর বাদও দিয়েছেন। আমি ভেঙ্গে পড়িনি। জীবনের প্রয়োজনে অভিনয় করে গেছি।

কখনো তারকা হতে চাইনি, চেয়েছি অভিনেতা হতে। প্রতিনিয়ত শিখছি, জানছি। সবার ভালোবাসা আর নিজের অধ্যবসায়ে আমি আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি। মোশাররফ করিমের ক্যারিয়ারে ক্যারাম নাটকটি একটি অন্যতম দিক বলা যেতে পারে। তিনি বলেন, এ নাটকের মাধ্যমে আমার পরিচিতি বিকশিত হয়েছিল এটা বলতেই হবে। এজন্য আমি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর কাছে কৃতজ্ঞ।

বর্তমান সময়ের অন্যতম ব্যস্ত জনপ্রিয় এই অভিনেতা এখনো সরল ও সাদামাটা জীবন যাপন করেন। এখনো রিকশাই তার বাহন। তিনি বলেন, অনেকেই গাড়ি কিনতে বলে তবে আমি সেই মোশাররফ করিমই থাকতে চাই। আগের মতো সাদামাটাই রয়ে যেতে চাই। তথাকথিত নায়ক নয় বরং সব চরিত্রে অভিনয় করতে পারাটাই একজন অভিনেতার যেমন মুন্সিয়ানার জায়গা তেমনি মানসিক তৃপ্তিরও বিষয়। মোশাররফ করিম তেমনি একজন অভিনেতা, যিনি প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছেন আগামীর উচ্ছসিত সময়কে

মিলার রুমমেট:

সংগীতাঙ্গনে সময়ের হটকেক মিলা। দেশে তো বটেই সচরাচর প্রবাসীদের ডাকে তিনি উড়াল দেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, গান শোনাতে। দেশের মধ্যে শো হলে তিনি অবশ্যই রাতারাতি ফিরে আসেন নিজ বাসায়। তাই বলে বিদেশে তো আর সে ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া বিশ্বের সবখানেই তো আর মিলার মামা-খালার বাসা নেই, শো শুরুর আগে কিংবা পরে যেখানে গিয়ে রাত কাটাতে পারেন।

ফলে বিদেশের বেশির ভাগ সময়ই মিলাকে কাটাতে হয় আবাসিক হোটেলে দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে। আর সেখানেই ঘটে যত বিপত্তি-শঙ্কা আর ভয়ের ঘটনা। সফরের অন্য সবাই পরম নিশ্চিন্তে হোটেল রুম বেছে নিলেও রুমমেট খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মিলা। তাও যেই সেই রুমমেট হলে হবে না, হতে হবে মনের মতো সদস্য।

এ নিয়ে প্রায়ই বেকায়দায় পড়েন মিলার আয়োজক কিংবা সফরসঙ্গীরা। মিলা ভক্ত কিংবা মিডিয়া সমালোচকদের কাছে বিষয়টি অনেক রসময় অথবা জিহায় দাঁত বসানোর মতো ঘটনা মনে হলেও বাস্তব সত্য এটাই। যা মিলার সফর সঙ্গীরা ভাল করেই জানেন। কারণ মিলার রুমমেট খোঁজা নিয়ে এ যাবৎ অনেক মজার এবং বিব্রতকর ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন সফরে।

এ নিয়ে অনেকেই মিলাকে ভুল বুঝেছেন, মিলাও অনেক লোভনীয় বিদেশী শোর অফার নাকচ করে দিয়েছেন মনের মতো রুমমেটের অভাবে। কিন্তু বিষয়টি কি? কেন তিনি বিদেশে গেলে গানের চেয়ে রুমমেটের প্রতি বেশি সিরিয়াস থাকেন? এ প্রসঙ্গে মিলার কাছে বিনীত প্রশ্ন ছিল। তিনিও বিনীতভাবে বুঝিয়ে বললেন।

তিনি বললেন হ্যাঁ, এটা সত্যি হোটেলে থাকতে হলে আমার জন্য সবচেয়ে জরুরি একজন রুমমেট। রুমমেট না হলে আমি ওই হোটেল তো দূরের কথা ওই শোতেও অংশ নিতে অপারগতা জানাই। আরে ভাই নিজে বাঁচলে বাপের নাম, ভ্যারি ফ্র্যাঙ্কলি...! আমি কোথাও কোনো ঘরে একা থাকতে পারি না। নিজ বাসাতেও না। বিশ্বাস করবেন না আমার কাছে এখনও কি পরিমাণ বিদেশ সফরের অফার আছে।

কিন্তু যেতে পারছি না, রুমমেটের অভাবে। বিদেশ যেতে হলে রুমমেট আমার চাই-ই চাই। এ নিয়ে আমার সফরসঙ্গীরাও অনেক সময় মজা করেন, ইভেন আমার রুমমেটরাও মজা পায়। অনেকে আমার এ দুর্বলতাটাকে ভিন্নভাবে প্রকাশও করতে চায়। ইটস্ ভেরি ফানি! রুমমেট বিষয়টি নিয়ে মিলা আসলেই বড় বিপদে আছেন। যদিও বিষয়টি এখন আস্তে আস্তে পরিষ্কার হচ্ছে সর্বত্র।

কিন্তু মিলা একটা ঘরে কেন থাকতে চান না, কিংবা পারেন না? মিলা বলেন, এটা আসলে বলার মতো নয়, তবুও বলছি। আমার মধ্যে প্রচণ্ড ভূতের ভয় কাজ করে। আমি একা কোথাও থাকতে পারি না। ফলে বিদেশে যাবার আগেই আমি আয়োজকদের কাছে কনফার্ম হই আর কে কে যাচ্ছে। এরপর সেখান থেকে ওই শিল্পীদের সঙ্গে কনফার্ম হয়ে আমি বিদেশে যাই।

আবার অনেক সময় দেশ থেকে কনফার্ম হয়েও রুমমেট পাই না, তখন আমার মাথা খারাপ হয়। আগে তো ভাই জীবন বাঁচাতে হবে, নাকি? মিলা আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে আমি মমতাজ আপার সঙ্গে বিদেশে গিয়ে অনেক শান্তি পেয়েছি। উনি আমাকে বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে বেশি ছায়া-সহযোগিতা করেছেন সবসময়। আমি উনার কাছে কৃতজ্ঞ।

এদিকে মিলা আরও জানান, এই রুমমেটের অভাবে তিনি বিদেশ যাওয়া সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ভূতের ভয়ের কারণ কি? ডাক্তার কিংবা মনোবিজ্ঞানী...মুখের কথা কেড়ে নিয়ে মিলা বলেন, দেখুন ডাক্তার-দাওয়াই দিয়ে আমি আমার শৈশবটাকে তো মুছে ফেলতে পারবো না। কারণ ছোট বেলায় আমি সারাদিন পড়ে থাকতাম ভূতের ছবি নিয়ে। মূলত আমার আব্বু দেখতেন, সঙ্গে আমিও। সেখান থেকেই ভূতের ভয়টা আমার মধ্যে আটকে গেছে।

Make a Free Website with Yola.